অফিসে যেতে ইচ্ছে করছে না নিশ্চই? ইচ্ছা না-ই করতে পারে। আর ইচ্ছা না করলে একটু ফাঁকিবাজিতো করা যেতেই পারে! কিন্তু বস কি আপনার কথা বুঝবে! তাই আপনার জন্য রইল কিছু যুক্তি-
১. ‘‘স্যার! সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে! আমি হাসপাতালে। উপরের তলার চাচি বাথরুমে পড়ে গিয়েছেন। ওনাকে নিয়ে আমি হাসপাতালে এসেছি। আজ স্যার…’’
২. ‘‘হাঁটতে পারছি না স্যার। কাল ফেরার পথে হোঁচট খেয়ে নখ উঠে গিয়েছে। রক্তা অনেক রক্ত ঝড়েছে।’’ (মনে রাখবেন, এর পরের চার দিন আপনাকে অফিসে খোঁড়াতে হবে।)
৩. ‘‘কেলেঙ্কারি হয়েছে স্যর! বাড়ির মিটার বক্সে আগুন। ফায়ার সার্ভিস ডেকেছি। সদর দরজা আটকে দিয়েছে। বের হতে দিচ্ছে না।’’
৪. ‘‘বাস থেকে পড়ে গিয়েছি! ঘাড়ে চোট লেগেছে। ডাক্তার বলেছেন রেস্ট নিতে।’’
৫. ‘‘চোখ উঠেছে স্যার। শুনেছি তাকালেই ছড়ায়। ভয়ঙ্কর ভাইরাস।’’
৬. অফিস যদি ৯টায় হয়, ফোনটা করুন সকাল সাড়ে সাতটায়। কাজের কথা শুরু করুন। আর প্রতিটি শব্দের পরেই জোরসে কাশতে থাকুন। যেমন, ‘‘স্যর, কালকের (খ্যাক খ্যাক) মিটিংটায় অমুক গ্রুপের (খ্যাক খ্যাক খ্যাক খ্যাক) ফাইলগুলো সব (খ্যাক খ্যাক খ্যাক)…এবার দেখুন বস্-ই বলবেন, ‘‘আজ আর আসতে হবে না আশিক। টেক রেস্ট।’’
৭. ‘‘ভাইরাল ফিভার হয়েছে স্যার। নাক দিয়ে নায়াগ্রা ঝরছে (এখানে একটা সপাটে হাঁচি দিন)। সঙ্গে (আবার) হ্যাঁ…অ্যাঁ…অ্যাঁ…অ্যাঁ…চ…চো…ওওওও।’’
৮. ‘‘কাল আপনার আনা ফিশ ফ্রাই, পোলাও আর মাংস খেয়েছিলাম। সকাল থেকেই লিক করেছে। বাথরুমের পাশে বিছানা পেতে শুয়ে আছি। বাঁ-হাতের পানি শুকাচ্ছে না।’’
৯. রুমমেট আছে? ব্যস! তৈরি হয়ে গেল আপনার যুক্তি— ‘‘স্যার, রুমমেট বাইরে থেকে তালা দিয়ে গিয়েছে। ফোন করেছিলাম, ধরছে না। কী করব বলুন…’’
১০. ‘‘স্যার! গলায় খুব ব্যথা ছিল কয়েকদিন ধরেই। ডাক্তার বোধহয় খারাপ কিছু মনে করছেন। জানি না (দীর্ঘশ্বাস…)।’’ দেখবেন, যখন চাই, তখন পাই ছুটি।
(বিঃদ্রঃ লেখাটি একান্ত মজা করার জন্য লেখা।) আর ও জানতে >>>"রিড মোর"