মানুষের কাছে বিশাল এক রহস্যের নাম বারমুডা ট্রাইঅ্যাঙ্গেল। যেকোন জাহাজ বা বিমানকে গিলে ফেলতো কিছু বুঝে ওঠার আগেই। কিন্তু বিজ্ঞানীদের দাবি, তারা এই রহস্যের পর্দা উদঘাটন করতে পেরেছেন। চলুন জেনে নেই বারমুডা ট্রাইঅ্যাঙ্গেলের নেপথ্যে আসলে কি রয়েছে?
পুয়ের্তো রিকো, মায়ামি এবং বারমুডা, তিনদিকে এই তিনটি জায়গাকে রেখে যদি সরলরেখা টানা হয়, তা হলে সমুদ্রের উপরে যে ত্রিভূজ দাঁড়ায়, তা-ই বারমুডা ট্রাইঅ্যাঙ্গল হিসেবে কুখ্যাত। ‘কুখ্যাত’ এ কারণেই যে, ওই এলাকায় বহু জাহাজ এবং বিমান নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। সমুদ্রের তলায় বিশাল প্রাণী থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ, ঝড়- বারমুডা ট্রাইঅ্যাঙ্গল ঘিরে ছিল রহস্য আর মিথ, সঙ্গে নানা রকম ব্যাখ্যা।
সম্প্রতি এই রহস্যের উপর থেকে পর্দা উদঘাটন করলো নরওয়ের আর্কটিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এইটি গবেষণা দল। গবেষকরা বলছেন, তারা ওই এলাকায় সমুদ্রের তলায় বড়মাপের বেশ কয়েকটি আগ্নেয়গিরির সন্ধান পেয়েছেন। সেই আগ্নয়েগিরি থেকে ক্রমাগত বেরিয়ে আসছে বিষাক্ত মিথেন গ্যাস। শুধু মিথেনই নয়। তার সঙ্গে বেরিয়ে আসছে আরও কয়েক ধরনের গ্যাস, যার অনেকগুলিই বিষাক্ত। গবেষকদের ধারণা, এর ফলেই ওই এলাকায় সমুদ্রে কোনও জলজ প্রাণীও নেই।
গবেষকরা দাবি করেছেন, মিথেন সমুদ্রে তলদেশ থেকে উঠে এসে সমুদ্রের জলকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তুলছে। গোটা এলাকা ঢেকে গিয়েছে মিথেনের চাদরে। উচ্চতা অন্তত ১৫০ ফিট। ফলে, কোনও নাবিক বা পাইলটের পক্ষে চার পাশ দেখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই কারণেই বারমুডা ট্রাইঅ্যাঙ্গলে একের পরে এক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর ও জানতে......"কিলিক লিং"